Ads

ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে বন্যাদুর্গত এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন

 ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে বন্যাদুর্গত এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন




বাংলাদেশে পড়াশোনা করা ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীরা দেশের বন্যাদুর্গত অঞ্চলে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন। শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে শায়খ আহমাদুল্লাহ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই তথ্য শেয়ার করেন।

শায়খ আহমাদুল্লাহ তার পোস্টে বলেন, “বাংলাদেশে পড়াশোনা করা ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীরা বন্যাপীড়িত অঞ্চলে আমাদের সাথে কাজ করছেন। দুর্দিনে যারা আমাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, তারা আসলেই আমাদের সাহায্য করেছেন। ফিলিস্তিনের প্রতি ভালোবাসা।”

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেছেন। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এই ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে, যা বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনে দীর্ঘদিন ধরে চলমান গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ১৯৪৮ সালে ইসরাইলের অবৈধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই সংঘাতের মাত্রা বেড়েছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এবং ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, দখলদারিত্ব, জনসংখ্যা স্থানান্তর, এবং বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের পর থেকে ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীর, গাজা এবং পূর্ব জেরুজালেমে ইসরাইলি বসতি স্থাপন ও সামরিক উপস্থিতি বাড়ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

গাজায় নিয়মিত সামরিক অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকের মতে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণহত্যার শামিল। ২০২৩ সালে গাজায় সহিংসতা আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করেছে। এই সংঘাতের কারণে লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং দীর্ঘমেয়াদি মানবিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক বিভিন্ন বিষয় এই সংঘাতের পেছনে জড়িত, যা এর সমাধানকে অত্যন্ত কঠিন করে তুলেছে।

Post a Comment

0 Comments